কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের (ফাইনাল) পরীার ফরম পূরণে
বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচীতে ফের হামলা চালিয়ে ছাত্রফ্রন্টের কলেজ
শাখার আহ্বায়ক স্বপন সহ ৫ নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের
নেতা-কর্মীরা। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। স্বপনের মাথায় ৫টি সেলাই দিতে হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা
গেছে। এনিয়ে দুইদিনে আহত হয়েছে ১০জন।
ছাত্রফ্রন্টের সরকারী কলেজ শাখার নেত্রী মৌসুমী রহমান বুবলী জানান,
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের
বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে কলেজের বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবীতে শান্তিপূর্ণ
মিছিল শুরু করে। এসময় ছাত্রলীগের কলেজ শাখার আহ্বায়ক তাপস ও সদস্য সচিব
সাগরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল তাদের মিছিলে বাঁধা দিয়ে জানায়, কলেজে
ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কোন সংগঠন কোন কর্মসূচী করতে পারবেনা। কলেজে পড়তে হলে
তাদের হুকুম মেনে পড়তে হবে। এরপরও ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের
বাঁধা অতিক্রম করে মিছিল করতে চাইলে তারা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময়
ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় ছাত্রফ্রন্টের কলেজ শাখার আহ্বায়ক স্বপন রায়,
কামরুন নাহার সরকার ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা সাম্য রাইয়ানসহ ৫জন গুরুতর আহত
হয়।
এ হামলার ঘটনার একদিন আগে গত সোমবার দুপুরেও একই দাবীতে প্রগতিশীল
ছাত্রজোটের কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচীতে
ছাত্রলীগের ৩০-৩৫ জন ক্যাডার হামলা চালিয়ে ছাত্রফ্রন্টের জেলা সংগঠক আতিকুর
রহমানসহ ছাত্র ইউনিয়নের পাঁচ নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। তারাও কুড়িগ্রাম সদর
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, কুড়িগ্রাম
সরকারী কলেজে সোমবার থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণ শুরু হয়। এতে
মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে বিষয় সমূহের জন্য ২হাজার ৮ শত ৫০ টাকা, বিজ্ঞান
বিভাগ সমূহে ৩ হাজার ৩ শত ৭৭ টাকা নির্ধারন করা হয়। যা জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি। এর প্রতিবাদে
শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের আহত করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন