গত ২৫ জুলাই ছাত্র ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম জেলা সংসদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিটি নিচে দেয়া হল:
২৫.০৭.২০১২ খ্রি.
বরাবর,
শিক্ষা মন্ত্রণালয়/স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
মাধ্যম: জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম
বিষয়: স্মারকলিপি পেশ
জনাব,
আপনাকে অবগত করছি যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা-২০১০’ এর ফরম পূরণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞান বিভাগের ১৯৫০ টাকা নির্ধারণ করে। অথচ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ উক্ত ফি নির্ধারণ করে ৩৪২৭ টাকা, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি’র চেয়ে ১৪৭৭ টাকা বেশি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কেননা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ৫০০-৮০০ টাকা বেশি উত্তোলন করা হলে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো। কিন্তু দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি কলেজ প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করতে গেলে এ বিষয়ে কোনরকম আন্দোলন-সংগ্রাম না করার জন্য হুমকি দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে কারো নিকট জবাবদিহি করতে তিনি বাধ্য না। গত ২৩ জুলাই দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি দেয়া নিয়ে সাধারন ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হলে প্রগতিশীল ছাত্রজোট সাধারন ছাত্রদের নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করে এবং অর্ধদিবস ফরম পূরণ থেকে বিরত থাকে। এতে কলেজ প্রশাসনের ইন্ধনে, উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের ক্যাডারবাহিনী প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায়, এমনকি ছাত্রীদেরও লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি নিয়ে সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা নিতে রাজি হননি। ফলে বাধ্য হয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতৃবৃন্দ পরদিন ২৪ জুলাই আবারো অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চাইলে আবারো ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় কামরুন্নাহার, স্বপন কুমার, সাম্য রাইয়ান, নিরঞ্জন চন্দ্র রায়, মৌসুমী আক্তার বুবলিসহ অনেকে আহত হলে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বিষয়টি দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়।
কলেজ প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের এরকম আচরণের ফলে কুড়িগ্রামবাসী তথা দেশবাসীর নিকট দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। এমত অবস্থায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
নিবেদক
মোকলেছুর রহমান সাম্য রাইয়ান
সভাপতি সাধারন সম্পাদক
সভাপতি সাধারন সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
কুড়িগ্রাম জেলা সংসদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন