নিরঞ্জন চন্দ্র রায়
নির্বাচিত ছাত্র সংসদ ছাত্রদের মৌলিক অধিকার। এর জন্য ছাত্ররা প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমান ফি-ও দেয়। এই টাকা শুধুমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ছাত্রদের প্রয়োজনে ব্যয় করার কথা থাকলেও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় এই টাকা কে, কীভাবে খরচ করছে তাও ছাত্রদের অজানা থেকে যাচ্ছে। নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে ছাত্ররা পাঠ্যসূচির বাইরেও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নেতৃত্ব প্রদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারত। এ প্রেক্ষিতে একটি কথা মনে পড়ে, “শিক্ষা, সাধনা, চেতনাশীল মন এরই নাম ছাত্রজীবন”। এটা সত্যিই দুঃখজনক, দীর্ঘকাল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। অথচ এ দেশের সকল গৌরবময় গণমুখী সংগ্রামে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৫২Ñ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের স্বর্ণযুগ বলা যায়। ৫২-র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-র মুক্তিযুদ্ধে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই সময়ে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা বর্তমানে জাতিয় রাজনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বিগত দুই দশক ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে না দিয়ে জাতীয় নেতৃত্বে অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে। গণতন্ত্রের কন্যারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়নি, অথচ স্বৈরাচারী এরশাদও তার সময়ে দুইবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়েছে! বর্তমানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার জন্য দেশের বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোই দায়ী। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কব্জায় রাখা এদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদের ধারনা, ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ যার হাতে, জাতীয় রাজনীতি তার হাতে। [এখন তো কুকুর লেজ নাড়ায় না লেজই কুকুর নাড়ায়] ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার জন্য এরা অছাত্রদেরও ব্যবহার করে। বর্তমানে যে সকল অনিয়মিত ছাত্ররা/অছাত্ররা ক্যাম্পাসে দাপট দেখাচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে এই অবস্থা থাকবে না বলে কর্তৃপক্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই।এখন ছাত্রদের চেয়ে শিক্ষকদের মধ্যেই অধিক দলাদলি। মনে হয় শিক্ষকরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের লেজুরবৃত্তি করছেন। বিশেষকরে একশ্রেনির শিক্ষক ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের প্রভাব বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট থাকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুক এটা তারা চায় না। বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা আদুভাই ছাত্রনেতা হিসেবে নেতৃত্ব প্রদান করছে। যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য; সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে শ্রেষ্ঠ তারাই এইসব বুর্জোয়া ছাত্র সংগঠনের ছাত্রনেতা!
নির্বাচিত ছাত্র সংসদ ছাত্রদের মৌলিক অধিকার। এর জন্য ছাত্ররা প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমান ফি-ও দেয়। এই টাকা শুধুমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ছাত্রদের প্রয়োজনে ব্যয় করার কথা থাকলেও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় এই টাকা কে, কীভাবে খরচ করছে তাও ছাত্রদের অজানা থেকে যাচ্ছে। নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে ছাত্ররা পাঠ্যসূচির বাইরেও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নেতৃত্ব প্রদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারত। এ প্রেক্ষিতে একটি কথা মনে পড়ে, “শিক্ষা, সাধনা, চেতনাশীল মন এরই নাম ছাত্রজীবন”। এটা সত্যিই দুঃখজনক, দীর্ঘকাল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। অথচ এ দেশের সকল গৌরবময় গণমুখী সংগ্রামে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৫২Ñ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের স্বর্ণযুগ বলা যায়। ৫২-র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-র মুক্তিযুদ্ধে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই সময়ে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা বর্তমানে জাতিয় রাজনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বিগত দুই দশক ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে না দিয়ে জাতীয় নেতৃত্বে অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে। গণতন্ত্রের কন্যারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়নি, অথচ স্বৈরাচারী এরশাদও তার সময়ে দুইবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়েছে! বর্তমানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার জন্য দেশের বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোই দায়ী। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কব্জায় রাখা এদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদের ধারনা, ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ যার হাতে, জাতীয় রাজনীতি তার হাতে। [এখন তো কুকুর লেজ নাড়ায় না লেজই কুকুর নাড়ায়] ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার জন্য এরা অছাত্রদেরও ব্যবহার করে। বর্তমানে যে সকল অনিয়মিত ছাত্ররা/অছাত্ররা ক্যাম্পাসে দাপট দেখাচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে এই অবস্থা থাকবে না বলে কর্তৃপক্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই।এখন ছাত্রদের চেয়ে শিক্ষকদের মধ্যেই অধিক দলাদলি। মনে হয় শিক্ষকরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের লেজুরবৃত্তি করছেন। বিশেষকরে একশ্রেনির শিক্ষক ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের প্রভাব বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট থাকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুক এটা তারা চায় না। বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা আদুভাই ছাত্রনেতা হিসেবে নেতৃত্ব প্রদান করছে। যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য; সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে শ্রেষ্ঠ তারাই এইসব বুর্জোয়া ছাত্র সংগঠনের ছাত্রনেতা!
“ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রুলিং পার্টির ছাত্র সংগঠনের এক নেত্রী ১৬ বছর ধরে ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী─ একই সাথে ঐ সংগঠনের নেত্রী হিসেবে বহাল রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি ২ বছর+অনার্স ৪ বছর+মাস্টার্স ১ বছর সবমিলিয়ে তার ৭ বছরে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ১৬ বছর ধরে ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ও ছাত্রনেতা হিসেবে আবাসিক হলে সিট নিয়ে বসে আছে। একই সংগঠনের এক নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছেন। যেখানে অনার্স-মাস্টার্স শেষ হতে ৫ বছর লাগার কথা, সেখানে ১৬ বছর ধরে সে আবাসিক ছাত্র হিসেবে রয়েছে। হলের ক্যান্টিনে তার বিরুদ্ধে ফ্রি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইডেন কলেজের ঐ নেতৃর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ভর্তি বানিজ্য, সীট বানিজ্যসহ সমাজবিরোধী অনৈতিক কাজের।” “আদুভাই ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে তাদের সংগঠন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।” কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হলে আদুভাই ছাত্রনেতাসহ অছাত্রদেরও দৌরাতœ বন্ধ হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ছাত্রদের বিকাশের প্রয়োজনেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন─ জরুরী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন