অনন্ত আকাশ
লক্ষ্য এবার সেঞ্চুরী! এবারই প্রথম এসএসসিতে সর্বোচ্চ পাশের হার। যা ৯১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। পাশ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকদের উল্লাস! শতভাগ পূর্ণ হতে আর বেশি বাকী নেই। এবার প্রশ্ন, উত্তীর্ণরা কি সুশিক্ষায় শিক্ষিত? মেধাবী? নাকি পরীক্ষা দিলেই পাশ? কারণ সরকার চাচ্ছে শতভাগ পাশ! সেই লক্ষ্য আর বেশি দূরে নয়। এবার ৯১ শতাংশ, আগামী ২০১৩-২০১৪ তেই হয়ত হবে শতভাগ পাশ। যোগ্যতা নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। সরকার চাচ্ছে শতভাগ পাশ; এতে করে সরকারও শতভাগ পাশ!
যেহেতু পাশ-ফেল পুরোটাই এখন রাজনৈতিক বিষয় (এ বিষয়ে মঞ্চের গত ১৯তম সংখ্যায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি), অতএব পরবর্তী সরকার অবশ্যই চাইবে পাশের হার বাড়াতে। কিন্তু কীভাবে এই শতভাগকে আর বাড়ানো সম্ভব? হ্যাঁ-সম্ভব। তারা হয়তো শতভাগ পাশের সঙ্গে যোগ করিয়ে দেবে শতভাগ A+। সরকারের সফলতা তুঙ্গে উঠবে; আর ছাত্ররা উঠবে এভারেস্টের চূড়ায়! এখন প্রশ্ন হল, ছাত্ররা এভারেস্টের চূড়ায়ই বসে থাকবে নাকি শ্রেণিকক্ষে জায়গা পাবে?
এভাবে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক তারপর স্নাতক থেকে বেকারত্ব কিংবা দুই বছরের ন্যশনাল সার্ভিস কর্মসূচি এবং আবারো সরকারের শতভাগ সাফল্য! ৪ বছরের অনার্স কোর্স যখন ৮ বছরে শেষ হয় তখন ছাত্র অবস্থায়ও ন্যশনাল সার্ভিসে চাকুরী করা যায়!
ফলে সরকার খুশি, অভিভাবক খুশি, খুশি ছাত্ররাও; তবে এ খুশি সাময়িক। যখন একাডেমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে কর্ম ছাড়া কর্মময় জীবনে প্রবেশ করবে তখন এই বেকারদের দায়ভার কে নেবে? আজকের শতভাগ পাশ করা সরকার নাকি উল্লসিত অভিভাবক?
লক্ষ্য এবার সেঞ্চুরী! এবারই প্রথম এসএসসিতে সর্বোচ্চ পাশের হার। যা ৯১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। পাশ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকদের উল্লাস! শতভাগ পূর্ণ হতে আর বেশি বাকী নেই। এবার প্রশ্ন, উত্তীর্ণরা কি সুশিক্ষায় শিক্ষিত? মেধাবী? নাকি পরীক্ষা দিলেই পাশ? কারণ সরকার চাচ্ছে শতভাগ পাশ! সেই লক্ষ্য আর বেশি দূরে নয়। এবার ৯১ শতাংশ, আগামী ২০১৩-২০১৪ তেই হয়ত হবে শতভাগ পাশ। যোগ্যতা নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। সরকার চাচ্ছে শতভাগ পাশ; এতে করে সরকারও শতভাগ পাশ!
যেহেতু পাশ-ফেল পুরোটাই এখন রাজনৈতিক বিষয় (এ বিষয়ে মঞ্চের গত ১৯তম সংখ্যায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি), অতএব পরবর্তী সরকার অবশ্যই চাইবে পাশের হার বাড়াতে। কিন্তু কীভাবে এই শতভাগকে আর বাড়ানো সম্ভব? হ্যাঁ-সম্ভব। তারা হয়তো শতভাগ পাশের সঙ্গে যোগ করিয়ে দেবে শতভাগ A+। সরকারের সফলতা তুঙ্গে উঠবে; আর ছাত্ররা উঠবে এভারেস্টের চূড়ায়! এখন প্রশ্ন হল, ছাত্ররা এভারেস্টের চূড়ায়ই বসে থাকবে নাকি শ্রেণিকক্ষে জায়গা পাবে?
এভাবে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক তারপর স্নাতক থেকে বেকারত্ব কিংবা দুই বছরের ন্যশনাল সার্ভিস কর্মসূচি এবং আবারো সরকারের শতভাগ সাফল্য! ৪ বছরের অনার্স কোর্স যখন ৮ বছরে শেষ হয় তখন ছাত্র অবস্থায়ও ন্যশনাল সার্ভিসে চাকুরী করা যায়!
ফলে সরকার খুশি, অভিভাবক খুশি, খুশি ছাত্ররাও; তবে এ খুশি সাময়িক। যখন একাডেমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে কর্ম ছাড়া কর্মময় জীবনে প্রবেশ করবে তখন এই বেকারদের দায়ভার কে নেবে? আজকের শতভাগ পাশ করা সরকার নাকি উল্লসিত অভিভাবক?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন